অলিয়ার রহমান,কেশবপুর প্রতিনিধিঃ কেশবপুরে পঞ্চম ধাপের নির্বাচনের পর ৮টি ইউনিয়নে প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সহিংসতা হয়েছে। এতে দু’জন মেম্বার প্রার্থীসহ ১৩ জন আহত হয়েছেন। তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ সহিংসতার পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় এলাকায় পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। গত বুধবার পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচনে কেশবপুরের ১১টি ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ করা হয়। নির্বাচনের পর উপজেলার গৌরীঘোনা ইউনিয়নের ভেরচি গ্রামে প্রতিদ্বন্দ্বী দু’জন মেম্বার প্রার্থীর কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে নবনির্বাচিত মেম্বার আসাদুজ্জামান (৪২) ও তার ভাই ইমদাদুল হোসেন (৩৫) আহত হন।

অপরদিকে, বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়নে মেম্বার প্রার্থী মহিতোষ ঘোষ (৪৫) ও তার কর্মী প্রশান্ত ঘোষ (৩৮) প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালে সাগরদাঁড়ি ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া গ্রামে প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থীদের দু’পক্ষের কর্মীদের সংঘর্ষে খলিলুর রহমান (৪৮) ও তার ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন মারাত্মকভাবে আহত হন। এর মধ্যে খলিলুর রহমানের ডান পা ভেঙ্গে গেছে।

বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়নের ভান্ডারখোলা গ্রামের হাফিজুর রহমানকে (৫২) প্রতিপক্ষরা কুপিয়ে আহত করেছে। এছাড়া, কেশবপুর ইউনিয়নের সুজাপুর গ্রামের সুজিত দাস (৪৫), মজিদপুর ইউনিয়নের শিকারপুর গ্রামের বিল্লাল হোসেন (৩২), মঙ্গলকোট ইউনিয়নের বসুন্তিয়া গ্রামের তবিবুর রহমান (৩৫),

সুফলাকাটি ইউনিয়নের বেতিখোলা গ্রামের মোজাহার গাজী (৬৫), বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়নের পরচক্রা গ্রামের মইনুল ইসলাম (৩০) ও রবিউল ইসলাম (২২) এবং মঙ্গলকোট ইউনিয়নের ছোটপাথরা গ্রামের মতলেব সরদার (৫০) আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার ওসি বোরহান উদ্দীন বলেন, এ ঘটনায় থানায় এখনো কেউ মামলা করেনি। মামলা করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।